নিঃসঙ্গ ঈশ্বর

নিঃসঙ্গ ঈশ্বর’, এই ‘ভান’ টি ভারত সংস্কৃতির সব থেকে বর্ণময়, বিচিত্র এবং সর্বব্যাপ্ত চরিত্র শ্রীকৃষ্ণ কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। তবে এখানে শ্রীকৃষ্ণ কোন ভগবান নয়। এখানে তিনি একেবারেই মানুষ। রক্ত মাংসের মানুষ। ‘নিঃসঙ্গ ঈশ্বর’ শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বরিক জীবন, তাঁর মহান ব্যাপক অবিশ্বাস্য বিস্তৃত কর্মজীবন এবং অপর পক্ষে তাঁর একান্ত মানবিক ইচ্ছা, তাঁর মনের অদম্য বাসনা, তাঁর অন্তরের স্বাধীন মনোভাব, মুক্তি চেতনা… এই দুই পক্ষের দ্বন্দকে বর্নিত করে। কোথায় যেন তাঁর নিজেরই অমোঘ বানী “মা ফলেষু কদাচন…”, এর বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে অবদমিত নিঃসঙ্গ এক মানুষ। সেই মানুষটাকেই খোঁজার চেষ্টা হয় ঈশ্বরের খোলস ছাড়িয়ে, ঈশ্বরের জীবনের অন্তিম দিনে। এই নাট্য ঘটনাটি কল্পিত এবং এই নাট্য ঘটনাটি ঘটে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের শেষ দিনে। সুদূর অতীতে ঘটে গিয়েছে মহাভারতের যুদ্ধ। এমনকি যাদবদের বিনাশও ঘটে গিয়েছে। এখন তিনি একা। একাকী তিনি এসে বসেছেন এক অরণ্যের গভীরে। তাঁর ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে তাঁর নানান দ্বন্দ্বময়তা; পাওয়া, না-পাওয়া, চাওয়া, তাঁর সমস্ত কর্মজীবনের বিভিন্ন স্মৃতি। তাঁর জীবনের বিশেষ বিশেষ মানুষদের সাথে তাঁর সম্পর্কের টানাপড়েন, লেনদেন সবকিছু। জীবনের শেষ দিনে এসে তাঁর বারবার মনে পড়ে যায় মাতা গান্ধারীর অভিশাপের কথা।

মনে পড়ে যায় কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর শপথ ভঙ্গের কথা। মনে পড়ে জরাসন্ধের ভয়ে তাঁর সন্ত্রস্ত হয়ে থাকার সেই মানবিক দিনগুলোর কথা। মনে পড়ে যায় তাঁর প্রেম, ভালোবাসা, কর্ম, তাঁর ব্যার্থতা, তাঁর ক্রোধের কথা। সে যেন নিজেই নিজেকে দেখতে থাকে এক মানুষ হিসেবে। ক্রমশ ক্রমশ খসে পড়তে থাকে তাঁর অবতারের আবরণ। তাঁর ঐশ্বরিক খোলস। বেড়িয়ে আসে ভেতরের মানুষটা, যে হাহাকার করে, চিৎকার করে, বুক চাপড়ায় আর অপেক্ষা করে তাঁর পরম পরিনতির, তাঁর মৃত্যুর। এই সম্পুর্ন নাট্য সাহিত্যটি সংকলিত করেছেন শ্রীসোহম গুপ্ত এবং সুমন সাহা। এই ভানটির প্রয়োগ করেছেন সুমন সাহা। এর সঙ্গীত আয়োজন ও সঙ্গীত সৃজন করেছেন শ্রী শুভাশিষ সরকার এবং জয়দীপ সিনহা। অতিথি সুরকার রুপে গানগুলিতে সুরারোপ করেছেন শ্রীমতী শুচিশ্রী রায়, নামাঙ্কন করেছেন শ্রী গৌতম বরাট। আলোক পরিকল্পনা এবং প্রক্ষেপন করেছেন সৈকত মান্না। অভিনয় করেছেন শ্রী সুমন সাহা ও চন্দ্রানী সরকার। এই সম্পুর্ন নাট্য প্রযোজনাটি ভরত নাট্যশাস্ত্রে বর্ণিত দশ রুপকের মধ্যে অন্যতম একটি রুপক ‘ভান’ শৈলীতে গঠিত হয়েছে।

সাহিত্য সৃজন: সুমন সাহা ও সোহম গুপ্ত
সঙ্গীত সৃজন: শুভাশিস সরকার ও জয়দীপ সিনহা
অতিথি সুরকার: শ্রীমতী শুচিশ্রী রায়
আলোক পরিকল্পনা: সৈকত মান্না
নামাঙ্কন ও পোস্টার: শ্রী গৌতম বরাট
অভিনয়ে: সুমন সাহা ও চন্দ্রানী সরকার

নাট্যপ্রয়োগ: সুমন সাহা

“KRISHNA – the man alone”


Directorial note :


KRISHNA’, I AM TRYING TO EXPLORE THIS HISTORICAL, DIMENSIONAL AND
VERSATILE CHARACTER FROM AN ANTI-ROMANTIC POINT OF VIEW. THE PLAY IS
CONCERNED ABOUT THE CONFLICTS BETWEEN HIS HEAVENLY QUALITIES, HIS
GODLY KARMAS AND HIS PERSONAL WOE AND WISHES, PAIN AND PERISH AS A
MORTAL MAN. HERE LORD KRISHNA IS NO GOD, RATHER HE IS HUMAN; BEING OF
FLESH AND BLOOD; PLAYHOUSE OF ‘SHADA RIPU’. HE CRIES, CRAWLS, SCREAMS,
VIEWS HIMSELF AS A LOOSER, WHICH IS DIRECTLY AGAINST HIS OWN
UTTERANCE: “MAA PHALESHU KADACHANA…” MY GREAT ANCESTORS FROM THE
FIELD OF ART & LITERATURE NAMELY, Sh. BANKIM CH. CHATTOPADHYAY, NABIN
CH. SEN, GOURCHANDRA SAHA, RABINDRANATH THAKUR, Sh. NRISINHAPRASAD
BHADURI HAVE DEEP INFLUENCES ON ME FOR THE PLAN OF CONSTRUCTING
THIS PRODUCTION.


Synopsis:


IT IS THE LAST DAY OF KRISHNA. THE ‘KURUKSHETRA’ PERIOD IS OVER, THE ULTIMATE DISASTER OF
JADAVAS’ HAS HAPPENED ALREADY, LORD VALARAMA HAS EVENTUALLY FACED THE FAG END OF
MORTAL LIFE. NOW THE LORD (PROTAGONIST) SITTING ALONE IN THE MIDST OF THE FOREST,
WAITING FOR THE INEVITABLE DEATH. THE EVER DEPRESSED HUMAN COMES OUT LEAVING ALL HIS
GLORY AS GOD, KRISHNA ASKS HIMSELF ABOUT HIS OWN BENEFIT OUT OF HIS LIFE. HE LIKE A
SPECTATOR, VIEWS HIS CHARISMATIC KARMAS WHICH MADE HIM LARGER THAN LIFE. HIS
CONFRONTATION WITH SHISHUPAL, HIS PASSION FOR VRINDAVAN, HIS EARNEST WISH TO BECOME
THE BEST AMONG HIS FELLOWS IN THE FIELD OF POLITICS, HIS UNCONDITIONAL AFFECTION FOR
DRAUPADI, HIS FEAR FOR THE POWER OF KING JARASANDHA, THE PROMISE-BROKEN INCIDENT IN
THE BATTLE OF ‘KURUKSHETRA’, HIS DREAMS, THOUSANDS OF UNFULFILLED WISHES SCREAMING
TO HIM AND HAS MADE HIM A MAN; HE WANTS TO THROW AWAY THE MASK OF A LORD AND
WANTS TO LIVE HIS REST OF THE LIFE, THOUGH IT IS TOO SHORT TO CALL IT A LIFE, AS A MAN. BUT
STILL HIS UNPARALLELED INTELLECT MAKES HIM FORESEE AND FEEL ABOUT WHAT IS GOING TO
HAPPEN NEXT. HE TRIES TO BE IGNORANT; HE TRIES TO BE A COMMON MAN. BUT ULTIMATELY THIS
STRONG INDIFFERENT FEELING TOWARDS LIFE WILL CHANGE THE GOD, THE LORD, THE PURUSHOTTAMA’?

।। CREDITS ।।
Text Development: Suman Saha & Soham Gupta
Music Creation: Suvasis Sarkar & Jaydeep Sinha
Hon’ble Guest Music Composer: Smt. Suchisree Ray
Lighting Designing: Saikat Manna
Logo & Publicity Designing: Sh Goutam Barat
Actors: Chandrani Sarkar & Suman Saha

Share This Event