“মডেলিং যে কেবল ধনী ব্যক্তি দের জন্য নয়, বরং তা সকলের, সকল সাধারণ মানুষের জন্য!”
এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়ে AD RISHABH দ্বারা পরিচালিত হলো বাংলারমুখ একজিবিশন ২০২০-২০২১
কোনো বিরাট আয়োজন নয়, বরং ভিষন সাদামাটা ভাবে পরিবেশন করা হলো মন ভরে যাওয়ার মতো একটি অনুষ্ঠান;
২৬ তারিখ ২০২০ এর, টালিগঞ্জে একটি হলের রুফ টপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। ক্লাসিকাল ডান্স ও ফ্যাশন শো দুটি মিলে একপ্রকার মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো একটি পরিবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য অনেকেই হাজির হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য।
এরকমই সুন্দর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার সাথে, সেখানে নিজের শো কে নিয়ে কথা বললেন AD RISHABH,
প্রশ্ন(১) “হঠাৎ এই বাংলার মুখ নামটা রাখলেন কেন?”
উ: “বাংলাটা সবসময়ই আমার মনে প্রাণে, মন প্রাণ থেকে বাঙালি। ইন দ্য সেন্স লাইক ,
যা খুব বেশি কমার্শিয়াল নয় কিন্তু বড্ড কাছের। এবং সুন্দরও। যা আমরা সকলেই জানি।
Every person are beautiful every person are different to others, so i just because of that personally realized for as an artist anyone can be an artist, if they really want.
তাছাড়াও আরও একটা জিনিস আমাকে খুব বেশি আকর্ষণ করেছে সেটা হলো, এখানে যদি আপনি দেখেন প্রতিটি ছবিতে সাধারণ মানুষরা রয়েছেন। কেও ডাক্তার আছেন কেউ উকিল আছেন , সবাই সাধারণ মানুষ। বাংলারই মানুষ।
খুব কমই আছেন যারা প্রফেশনাল। তাই বাংলার মুখ।”
প্রশ্ন(২) “পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু ভেবেছেন?”
উ: “এই একজিবিশন টা আমাদের সিডনি তেও হবে। তাছাড়াও লন্ডন, আমেরিকা। যেখানে প্রবাসী বাঙালিরা থাকেন। এবং আমরা সকলেই যুক্ত একে অপরের সঙ্গে আর্টের মাধ্যমে। এবং আমি মনে করি যে এই আর্ট হলো একটি ভাষা, যা গোটা পৃথিবীকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করে রাখে।”
প্রশ্ন(৩) “এর আগেও কি এরকম কিছু করার প্রচেষ্টা করেছিলেন? নাকি এটাই প্রথম কাজ?”
উঃ “এর আগেও গতবছর একটা ছোট্ট প্রচেষ্টা করেছিলাম।(২০১৯) কারণ আমাকে বুঝতে হবে যে দর্শক কেমনভাবে রিয়াক্ট করছেন। আমরা গঙ্গার ঘাটে যখন এরকমই কিছু করার চেষ্টা করছি, একজন রিকশাওয়ালা এসে বললেন এরকম কাজতো আমরা কোনোদিনও দেখিনি। খুব ভালো লাগল তোমারা যে এই কাজগুলো করছো।
এগুলোই খুব বড় পাওনা। একজন রিকশাওয়ালা তো খুব বেশি লাক্সারি লাইফ লিড করেনা। তাদের কাছে জীবনটাতো খুব কষ্টের। তাদের কাছে এই সুযোগতো হয়ে ওঠে না যে তারা কোনো একজিবিশন দেখতে যাবেন। তাই এই ছোট্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি তারা কাজের ফাঁকে গাড়ি চালানোর মধ্যেও চারটে ছবি দেখতে পারবেন। এই তাদের এন্টারটেনমেন্ট এর কথা ভেবেই আমর এই বাংলার মুখ।”
প্রশ্ন(৪) “এতটা কম সময়ে ডেকোরেশন এর দিকটা কি করে সামলালেন ? কি করে মাথায় এলো এই থিমের কথাটা ?”
উ: “(একটু হেসে) আচ্ছা ডেকোরেশন নিয়ে আমি একটা কথা বলবো! যেহেতু এটা একটা কোলাবোরেশন প্রজেক্ট তাই আমরা কেউই এখানে টাকা ইনভেস্ট করতে পারতাম না। এবং আমরা যে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আমরা কেউই তা পেড়ে উঠতাম না। আমরা যেটা করলাম-আমরা যেটা করতে চাইলাম যে কম পয়সায় কি করা যায়।
প্রথম যে কথাটা মাথায় এলো সেটা হলো আমাদের লো-বাজেট। এবং দ্বিতীয় যে কথাটা মাথায় এলো সেটা ছিল বাংলার কোন ফুল আমাদের সাথে খুব বেশি ভাবে যুক্ত এবং কোন রংটা আমার খুব পছন্দের, সাম হাউ আমার লাল রঙটা ভীষণ পছন্দের। তখন আমি আমার বন্ধুদেরকে বললাম যে, উল গো ফর্ হলুদ এবং লাল।”
প্রশ্ন(৫) “প্রস্তুতি কবে থেকে শুরু করেছিলেন ?”
উ: “প্রস্তুতির জন্য মাস খানেক অথবা তারও কম সময় পেয়েছি আমরা। হঠাৎ করে এই একজিবিশন টার কথা আমাদের মাথায় আসে। যে আমরা কিছু একটা করি। বছর শেষে খারাপ স্মৃতি প্রচুর গেছে আমাদের। এত খারাপ স্মৃতি গেছে যে কিছু একটা হোক এই ভেবে আমাদের ঘুমাতে যাওয়া উচিত। এবং আজ আমি যদি মরেও যাই (হেসে) হয়তো আমি খারাপ স্বপ্নটা দেখে মরবো না। একটা স্বপ্ন দেখছি, যেখান থেকে আমি শুরু করতে পারবো। এটাই হচ্ছে সেই শুরু। আমরা আরও খাটতে চাই, আরও কাজ করতে চাই।
কলকাতায় আরও ইয়ং আর্টিস্ট রয়েছেন তাদের সবাইকে কানেক্ট করতে চাই। যেখানে মানুষ শুধু পয়সার জন্য আসবে না। যেখানে মানুষ মেডিটেশনের জন্য আসবে। এবং আমার কাছে ফোটোগ্রাফি মেডিটেশনের কাজ করে। আমি খুব শান্তি পূর্ণ ভাবে থাকতে পছন্দ করি। মেন্টাল পিস মাইন্ডেড। এবং দিনের শেষে মনে হয় আমার মনে হয়, আমি খুব খুশি হয়েছি এই কাজটা করে। শুধু আমি নয় এখানে যতগুলো ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছেন, মডেল হিসেবে কিংবা ফটোগ্রাফার হিসেবে , প্রত্যেকেই খুশি হয়েছেন।”
প্রশ্ন(৬) “পরবর্তী প্রজেক্ট এর কাজ কি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন ? খুব বেশি দিন তো আর সময় নেই! আজকের এই সাকসেসফুল ইভেন্ট এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে পরবর্তী কাজের জন্য কোনো পরিকল্পনা?”
উ: “আমার মনে হয় ওটার শুরু আমাদের মাথায় মাথায় হয়ে গেছে। কারণ কোনো কিছু হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে করা যায় না । বিশেষকরে কলকাতায়।
আমি সমস্ত পুলিশ থানা গুলোতে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। কোথাও গিয়ে আমি কারোর কাছে থেকে কোনো অনুমতি পাই নি। তবুও থেমে না থেকে আমি রয়টার্স এ গিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার এর সহকারী পুলিশ কমিশনার এর সাথে কথা বলি। এবং তিনি পারমিশান দিলেন এবং বলেন যে, কলকাতায় তুমি এই কাজটা করতে পারো। তবে একটা নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে। তবে খুব বেশি ঘিঞ্জি বা অতিরিক্ত গ্যানজাম যেন না হয়।
তবে পরবর্তী কাজ আমরা কলকাতা শুধু নয়, কলকাতা সংলগ্ন হুগলি, হাওড়া খুব স্বল্প খরচে এবং কম সময়ের জন্য করা যেতেই পারে।”
প্রশ্ন(৭) “এখন প্রায় ২০২০ এর শেষ, তবুও অনেক মানুষ এই ফ্যাশন বা মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিকে ভালো চোখে দেখে না বরং এই ইন্ডাস্ট্রিকে অনেকেই ব্ল্যাক ইন্ডাস্ট্রি বলে থাকেন, এই সম্পর্কে কি মতামত ?”
উ: “যেকোনো ইন্ডাস্ট্রিরই ব্ল্যাক ইন্ডাস্ট্রি, যদি সেটিকে সেইভাবে নেওয়া হয়। দাবার দুটি ছক আছে। সাদা আর কালো, যেভাবে বিষয়টিকে দেখা হবে, বিষয়টি তেমনই। আমাদের এখানে ঠিক মত খাবার নেই, মানুষ খেতে পারে না, নিজের যত্নই ঠিক করে করতে পারে না। সেটা কালো জগৎ হবে কি করে? (একটু হেসে) আমার মনে হয় এবার সোসাইটির মানুষজনদের ধারণাটা বদলানো উচিত। রেসিজম থেকে বেরিয়ে এসে যদি আমাদের কাজের ভালো দিক গুলো তারা দেখে তাহলে অবশ্যই আমাদের মডেলিং ইন্ডাস্ট্রি আর খারাপ থাকবে না তাদের কাছে।”
সানি বাগ
সল্টলেক, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অধিবাসী
জন্ম ৩রা জুন, ২০০১
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্গত,
শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজ-এর
দ্বিতীয় বর্ষের সাংবাদিকতা বিষয়ের ছাত্র।
শান্তনু দত্ত
১৭, বাগমারী লেন, বি আর এস: ১০, ব্লক-৯,
ফ্ল্যাট: ৩৩, কলকাতা: ৭০০০৫৪
জন্ম ৬ সেপ্টেম্বর, ২০০১
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্গত,
বিদ্যাসাগর কলেজ-এর দ্বিতীয় বর্ষের
সাংবাদিকতা বিষয়ের ছাত্র।