কলকাতায় স্ট্রিট ফ্যাশন শো

Share This Post

বেশ সাদামাটা অথচ মনকাড়া এক স্ট্রিট ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হল দক্ষিণ কলকাতার এক ক্যাফেতে। আউট অফ দ্য বক্স কোম্পানির জুয়েলারি এবং এক উল্লেখযোগ্য কোম্পানির ড্রেসের সহায়তায় জুম টি ও গ্রাফি ক্যাফেতে বেশ সুন্দরভাবে পরিবেশিত হল এই ফ্যাশন শো এডি রিসাভ এর পরিচালনায়।

“My mother my sisters are not safe. But our society is changing now. People are changing now. Barrier গুলো ভেঙে ভেঙে সবাই বেরিয়ে আসছে। And most of the time as an career option modelling is perfect for men, not for women. Proper education is now important.”
—AD RISHABH

সন্ধ্যে সাতটা, বালিগঞ্জ ৪৯এ মহানির্বান রোডে ৯ই জানুয়ারি ২০২১ এ, সুসজ্জিত ক্যাফের সামনে পরিবেশিত হয়েছিল এই ফ্যাশন শো। সেই সন্ধেই ক্যাফেটি যেভাবে সেজে উঠেছিল তা সত্যিই অতুলনীয়। এই সাজসজ্জার সাথে বিভিন্ন মডেলদের বিভিন্ন সাজে সেজে ওঠা এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল ফ্যাশান শো তে। তারা ভুলে যাননি বর্তমান পরিস্থিতির কথা। করোনাকালের কথা মাথায় রেখে কয়েকজন মডেল মাস্ক ফ্যাশন এর মধ্যে নিয়ে আসার ট্রেন্ড বজায় রেখেছিল। সব মিলিয়ে বেশ সফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ফ্যাশান শো টি।

এরপর কিছু প্রশ্ন উত্তর পর্বের মুখোমুখি হয়েছিল recital spherical ম্যাগাজিন।

প্রশ্ন(১): “হটাৎ স্ট্রিট ফ্যাশন শো কেন?”

উত্তর: “পুরোপুরিভাবে স্ট্রীট ফ্যাশন শো এটাকে বলা যায়না। আসলে এই পরিকল্পনাটা আমার হঠাৎই মাথায় এসেছিল যখন…..(একটু থেমে)অনেকেই হয়তো শুনেছেন যায় আমার আগের এক্সিবিশন টা সেটা কলকাতাতেই হয়েছিল যার থিম ছিল ‘বাংলার মুখ’। That’s a series actually, we all know that last year was so pathetic for us. আর সেটা আমরা যখন সার্ভাইভ করতে পেরেছি, তো এরপর আমরা কি করতে পারি! We can create something new for…. For our new generation for our self as well। কেন কি মাঝেমধ্যে আমাদের নিজেদের কেউ একটু মোটিভেটেড রাখতে হয় আর নিজেদেরকে একটু বুষ্ট আপ করতেই হয় and that’s all about how you built yourself to be a kind person, what we are supposed to think for contribution। কন্ট্রিবিউশন বলতে আমি শুধুমাত্র টাকা পয়সার কথা বলছি না, যথাযথভাবে এডুকেশন, প্রপার কালচারাল অ্যাকটিভিটি। এগুলো আমাদের জন্য খুব দরকার আমাদের সমাজের জন্য দরকার। আর আমরা তো এখনো স্ট্রাগলার মাত্র, হ্যাঁ স্মল আর্টিস্ট বলা যেতে পারে। তো সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা কি করতে পারি! আমরা সকলে এক জায়গায় জড়ো হয়ে নিজেদের মতো করে আমাদের কালচার বা আর আর্টস কে এক্সিকিউট করতে পারি সেটা সেলিব্রেট করতে পারি। That’s it. And that’s the idea comes from (মুচকি হেসে)”…

প্রশ্ন(২): “আমাদের সমাজে এখনও মডেলিং ক্যারিয়ার কে ভালো চোখে নেওয়া হয় না অথবা অনেকেই হয়তো করতে চায় কিন্তু বাড়ি থেকে সাপোর্ট পায় না। সেই বিষয়ে কি বলতে চান?

উত্তর: “(একটু হেসে) সেটা তো আমার মনে হয় ইন্ডিয়াতে কোন কিছুই ভাল ভাবে নেওয়া হয় না, আউট অফ দা বক্স কিছু হয়ে গেলেই সেটা মেনে নেওয়াটা একটা সমস্যা আমাদের দেশের।

আর বাড়ির সাপোর্টের কথা বলতে গেলে আমি যা বুঝতে পেরেছি, আমি এটা পরিষ্কার বলতে পারি….(ইতস্তত বোধ করে) ব্যাপারটা বলা ঠিক কিনা জানিনা, তবে দেখো স্পষ্ট কথা our mothers and sisters are not safe at least here।আমাদের সমাজের জন্য তাহলে কিছু বলার থাকে না। এর জন্য এডুকেসান টা খুবই জরুরী। আজ যদি আমরা এম্পাওয়ার্মেন্ট এর কথা বলি তাহলে, আমার মনে হয় আমার মা একজন বড় উদাহরণ। ছোট থেকে মাকে দেখেছি, বুঝেছি, লড়াই করাটাও শিখেছি। তো আমার মনে হয় এই যেকোনো কোনো কিছুকে মেনে নেওয়াটাই আমাদের সমস্যা”।

প্রশ্ন(৩): “আচ্ছা আপনাদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে (মডেলিং) আসার সঠিক পর্যায় অনেকেই তো জানেনা তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান?

উত্তর: “I think there are lots of good agencies in Bombay and Delhi but in Calcutta it’s such a…… I am sorry to say but in Calcutta there is no hope for modelling career।সাময়িকভাবে হয়তো তুমি কোন কমার্শিয়াল প্রজেক্ট করার সুযোগ পেয়ে যাবে কিন্তু পার্মানেন্ট ভাবে এখানে কোন ভালো সুবিধা বা ব্যবস্থা নেই। নরমালি এখানে তুমি বাকি ছেলেদের জামা কাপড় দেখলে হয়তো বুঝতে পারবে যে they are not so fashionable and they don’t even understand about their own culture as well। আজ আমাদের বাঙ্গালীদের কালচার এ ধুতি-পাঞ্জাবি পড়া আমরা কমবেশি ভুলেই গেছি। So fashion revolution is very important here।

আয় আর্থিক দিক দিয়েও নিজেদেরকে দাঁড় করানো টাও খুব ইম্পর্টেন্ট। তো সেটা নিয়েও লড়াই চলছে। আমার মনে হয়(একটু হেসে) রাজ্য সরকার বা আমাদের সরকার নিশ্চয়ই কিছু ভাবছেন এ বিষয়”।

প্রশ্ন(৪): “শোএর জন্য এই ক্যাফে টাই কেন বেছে নিলেন”?

উত্তর: “এই ক্যাফেটা আমরা পছন্দ করেছি কারণ জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর আর ইন্টারেস্টিং। I like the urban places where we can put pictures apart from academy, apart from any big gallery। পয়সাও ডিমান্ড করে আর আমরা এখনো স্ট্রাগলার’স, আমাদের পক্ষে এখনই এতটা ব্যয় করা সম্ভব নয়। আর এখানে আমরা যে কজন কাজ করেছি সবই আমার বন্ধুদের সাথে কোলাবোরেট করে। যেমন শঙ্খ(ক্যাফে ওনার), অভিক(মুল আয়োজক), অঞ্জন (জুয়েলারি ডিজাইনার) ওরা সবাই আমার বন্ধু। ওদের সবার সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না”।

প্রশ্ন(৫): “এর পরের শোএর পরিকল্পনা কিছু করেছেন কি?

উত্তর: “হ্যাঁ এরপরই ১৬ তারিখে আমাদের আরেকটা প্রোগ্রাম আছে, যদিও সেটা ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন কিন্তু সেখানেও আমার কিছু অন্যরকমভাবে ফ্যাশন শো করার ইচ্ছা আছে। খুব ইচ্ছা আছে।( হেসে বললেন) I want to do something interesting, more interesting”।

শারায়া পাল
জন্ম ১৫ই ডিসেম্বর, ২০০১পশ্চিমবঙ্গের,
উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী।
বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

দীপ্তরুপা সাঁতরা
জন্ম ২৬শে ডিসেম্বর, ২০০০পশ্চিমবঙ্গের,
উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী।
বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

Share This Post

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

Do You Want To express your thoughts

drop us a line and keep in touch