নিঝুম একটা পরিবেশ,
বই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি সাথে চায়ের পেয়ালায় চুমুক। কলকাতা শহরের বুকে শুরু হয়ে ওঠা এক নতুন ক্যাফে “এক কাপ চা”। বই পাড়ায় এ যেন এক নতুন সুখের আগমন বই প্রেমিদের কাছে। কারণ তাদের জন্য থাকছে এক নতুন চমক, বই এর চমক! কলকাতা শহরের প্রথম ক্যাফে যেখানে পাবেন আপনার পছন্দের বইটিও।
কলকাতা মানেই চা আর তার সাথে জমিয়ে আড্ডা। নস্টালজিক সেই আড্ডাকে আরও বেশি নস্টালজিক করে তোলে বইয়ের সেল্ফ গুলো। যেগুলো দেখেই বই প্রেমিরা আর যাই হোক নিজেদের সামাল দিতে পারবেন না। রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎচন্দ্র। হারিয়ে ফেলা শৈশবের পুরনো দিনের ভূতের গল্পের বই দেখে নিজেকে সামাল দেওয়া বেশি কঠিন হয়ে উঠবে না তো?
মেনুতে উপস্থিত থাকছে সুস্বাদু সব স্ন্যাকস্। প্রেমের পক্ষেও মন্দ একেবারেই নয়, বরং সুন্দর-শান্ত ঘরোয়া পরিবেশে একে ওপরের সাথে সময় কাটানোর জন্য বেশ ভালো একটা জায়গা এই ক্যাফেটেরিয়া । এবং একা হলেই বা ক্ষতি কি? বই এর সাথে সময় কাটান। আপনি বললে আপনার টেবিলে হাজির করা হবে আপনার পছন্দের বইটিও। পছন্দের বই পড়ার সুযোগ তো থাকছেই সাথে কেনার সুব্যবস্থা ও রয়েছে।
নতুনত্ব খাবার এবং সুন্দর তাদের নাম, চিকেন সিগারেট হোক কিংবা চাউমিন বার্গার। পরিবেশনেও মাধুর্য লক্ষণীয়। খাবারের দামও একেবারেই পকেট ফ্রেন্ডলি। তাছাড়াও খাবার গুলি অত্যন্ত যত্ন নিয়ে বানানো হয়। শীতের দুপুরে বই পাড়ায় বই এর সাথে চায়ের চুমুক সাথে পছন্দের মানুষের সাথে জমিয়ে আড্ডা, এর থেকে সুখময় কিছু হবে বলে আশা করা যায় না একেবারেই। বেতের তৈরি মোরা গুলো হলো এখানের আসল আকর্ষণ গুলির মধ্যে অন্যতম। বাঙালির গর্বের চা এর ঠিকানা তাই এখন “এক কাপ চা”। কলেজ স্কোয়ারের ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলটি যারা চেনেন বা যারা প্যারামাউন্ট গেছেন, প্যারামাউন্ট এর ব্যাক সাইটেই এই ক্যাফেটেরিয়া । সুন্দর পরিবেশে মন সতেজ করার জন্য একদমই অভূতপূর্ব এই স্থান। নতুন প্রজন্মের কাছে বই পড়ার ক্রমশ ভালোবাসার জায়গা হয়ে ওঠা এই ক্যাফেটেরিয়া চাইছে আপনাদের আরও ভালোবাসা।এক বার ঘুরে আসা যেতেই পারে। সবে শুরু হওয়া এই পথ চলা আরও পথের হদিশ চাইছে। ক্যাফের পাশেই প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ফাঁকা সময় বই পড়তে বা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নিছক আড্ডা দেওয়ার কোনো অসুবিধা হবে না। এই ক্যাফে খোলা থাকে প্রতিদিন দুপুর ১২:৩০ থেক সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। আর কলেজস্ট্রিট এর মধ্যেই যেহেতু রয়েছেন, বই পাড়া ঘুরতেই বা ক্ষতি কী? কিছুটা সময় ওখানেও কাটাতেই পারেন।
সানি বাগ,
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা এর অধিবাসী।
জন্ম ৩ রা জুন, ২০০১ বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অন্তর্গত শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজের
দ্বিতীয় বর্ষের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র।