আফ্রিকান শিল্পের ইতিহাস

Share This Post

 আফ্রিকার শিল্প সারা বিশ্বের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস গঠনে সর্বদা এক  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বিশ্বের দরবারে। আফ্রিকান শিল্প ইতিহাসের উৎস মানব ইতিহাসের বহু প্রাচীন পর্যায় থেকে,রক আর্ট শিল্পের প্রাচীনতম পর্যায়,নেকলেসের নকশায় তৈরি শেল জপমালা দক্ষিণ আফ্রিকার  উপদ্বীপের একটি গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়,যা ৭৫০০০ বছরেরও পুরানো।

নামিবিয়ায় রক পেইন্টিংগুলি বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্প এবং ২০০০০ বছরেরও বেশি পুরানো বলে প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা।

“Rock art is the earliest art form in Africa. Anthropologists are saying that modern Homo Sapiens began in Africa. It stands to reason therefore that Africa would contain both the oldest and greatest amount of rock art on this planet.The oldest images scientifically dated are in Namibia (the Apollo 11 caves) from about 24-27,000 yrs ago, yet most experts agree that Africa’s rock art may date to more than 50,000 years ago.The earliest known rock art preserved in the Saharan sands in Niger dates as far back as 6500 BC. They are carvings known as petroglyphs and depict animals like giraffes that no longer exist in that area.”

                                     – Contemporary African Art Blog

            প্রাচীন আফ্রিকান শিল্পকে যেসব স্থানে বিভক্ত করা যেতে পারে  যেমন  একটি হলো উত্তর আফ্রিকার শিল্প আরব দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। একইভাবে, ইথিওপিয়ার শিল্প ইউরোপ এবং খ্রিস্টান ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। মন্দির এবং সমাধিতে প্রাচীন মিশরের শিল্পও সংরক্ষিত রয়েছে। তবে, আফ্রিকান শিল্প হিসাবে বেশিরভাগ লোকেরা যা ভাবেন তা হ’ল সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে বসবাসকারীদের তৈরী শিল্প।আফ্রিকান শিল্পের অন্যতম প্রধান উপাদান এটি প্রায়শই  ত্রি-মাত্রায় তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, তারা যেসব  ভাস্কর্য প্রায়শই ব্যবহার করে। ভাস্কর্যগুলি বেশিরভাগই মানুষ এবং  প্রাণীর আদলে  তৈরী। আফ্রিকান শিল্পীরা প্রায়শই তাদের ভাস্কর্যের জন্য কাঠ ব্যবহার করতেন, তবে ব্রোঞ্জ, পোড়ামাটি এবং হাতির দাঁতও ব্যবহার হতো। প্রাচীন আফ্রিকার শিল্পের অন্যতম প্রধান বিষয় হ’ল মানব রূপ। বেশিরভাগ শিল্পের প্রাথমিক বিষয় মানুষ। কখনও কখনও মানুষকে পশুদের সাথে বা মানবদেহের কিছু অংশকে প্রাণীর সাথে মিলিয়ে ভাস্কর্যের আকৃতি দেওয়া হতো।এছাড়াও ছিলো বিভিন্ন গহনা ও মৃৎশিল্প।স্বর্ণ, রত্ন, শাঁস এবং অন্যান্য উপকরণ থেকে গহনা তৈরী হতো।সিরামিকের তৈরী জিনিসপত্র প্রতিদিনের রান্নার সরঞ্জামের জন্য ব্যবহৃত হত।

                  ইথিওপিয়ার আকসুমের বিশাল ওবেলিস্কস, মালির গ্রেট মসজিদ জিজেনের মতো মসজিদ এবং শিলা-কাটা গীর্জা সমেত স্মৃতিসৌধ কাঠামোও তৈরি করা হয়েছিল।

                 আফ্রিকান শিল্প ইতিহাসে যে প্রাচীনতম ভাস্কর্য গুলো পাওয়া গেছে তা বেশিরভাগই  নাইজেরিয়া থেকে আগত। তবে, প্রত্নতাত্ত্বিক খননের  অভাব আফ্রিকান শিল্পের প্রাচীনত্ব সম্পর্কে জানতে অনেকক্ষেত্রেই বাধার কারণ হয়েছে । যেহেতু এই বিষয়গুলি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির তাই তাদের সংরক্ষণের জন্য কোনও প্রচেষ্টা করাও হয়নি।তাদের মান অতি নগণ্য বলে ধারণা করা হতো।১৮৪০ সাল থেকে উপ-সাহারান আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশে বৈদেশিক উপনিবেশ ঘটেছিল এবং তখন থেকেই এদের শৈল্পিক মূল্যবোধ সর্বব্যাপী হয়ে ওঠে।  ভ্রমণকারী, ব্যবসায়ী এবং মিশনারিরা কৌতূহলী উপায়ে অনেক আফ্রিকান শিল্পের কৌশল অর্জন করেছিল কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপনিবেশিকরা আদিবাসী শিল্পকে যোগ্যতা এবং মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেনি, ফলে আফ্রিকান শিল্পের ইতিহাস পর্যাপ্তভাবে সংরক্ষণ বা দলিল করা সেইভাবে হয়ে ওঠে নি।

লেখক পরিচিতি : শুভ্রা সাহা
( জয়েন্ট এডিটর,রিসাইটাল স্ফেরিকাল )

Share This Post

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

Do You Want To express your thoughts

drop us a line and keep in touch